নিউজ ডেস্ক : মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের এই ব্রিফিং থেকে বের হওয়ার পর নোমানকে আটক করেছিল পুলিশ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে গাজীপুরের টঙ্গী থানায় আটকে রাখার পাঁচ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-অর রশীদ জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আদালতের আদেশের পর বিএনপিকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তখন নিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নোমানকে থানায় নিয়ে রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর তাকে চলে যেতে দেয়া হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের পর বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ফেরার পথে রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পুলিশ নোমানসহ ১০ জনকে ধরে টঙ্গী থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নোমানের গাড়িসহ বিএনপির অন্য নেতাদের গাড়িতে তল্লাশি করে পুলিশ। পরে পুলিশ সেখান থেকে আরো তিনজনকে আটক করে। আটককৃতদের টঙ্গী মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে টঙ্গী থানা থেকে নোমানকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকে ছাড়া হলেও বাকি ১০ জনকে ছাড়া হয়নি বলে জানিয়েছেন টঙ্গী থানার এসআই মো. ফয়েজ।
এদিকে, নোমানকে ধরে নেয়ার পর বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান সরকারের টঙ্গীর বাড়িও ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানে আটকা পড়েন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কয়েকজন। তবে রাত ১০টার দিকে হাসান সরকারের বাড়ি থেকেও পুলিশ সরে যায়।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আগামী ১৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল (রোববার) সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজের দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। নির্বাচন হাইকোর্ট স্থগিত করার পর স্থানীয় বিএনপিকর্মীরা বিক্ষোভ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। টঙ্গীতে নিজের বাড়িতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান সরকার সংবাদ সম্মেলন করেন, তাতে নোমানও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় গ্রেফতার হন তিনি। (পার্সটুডে)